Posts

Showing posts from 2020

মেয়েকে লেখা খতিব উবায়দুল হক রহ-এর চিঠি

Image
খতিব উবায়দুল হক রহ.- এর বড় মেয়ে রায়হানা হক সিলেটে তার দাদীর কাছে থাকতেন। যখন তার বিয়ের কথাবার্তা চলছিলো, সে সময় ১৬ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে আচার-ব্যবহারে ভদ্রতা ও নিপুণতা অর্জনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে মেয়েকে পত্র লিখেছিলেন। চিঠিটির আংশিক তুলে ধরা হলো— স্নেহের…! এক বছর থেকে তোমার স্কুল শিক্ষা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, তুমি লেখাপড়া ছেড়ে দিবে। বরং এখন আরও বেশি বেশি পড়া উচিত। লেখার চর্চা করাও দরকার। বিশেষভাবে দীনি কিতাবাদি এবং উর্দু বেহেশতী জেওর নিয়মিত পড়বে। দৈনিক দাদিজানের কাছে বসে বেহেশতী জেওর থেকে তিনি যতটুকু বলবেন ততটুকু পড়বে। তার কাছে জিজ্ঞেস করে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবে। কিতাব ছাড়াও আরেকটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা অত্যাধিক জরুরী। তা অর্জন করতে না পারলে ডিগ্রি অর্জন করার কোনো মূল্য থাকে না। এ জিনিসটি হচ্ছে ‘ছালিক্বা’ তথা আচার-ব্যবহারে ভদ্রতা ও নিপুণতা অর্জন এবং গৃহস্থ বিষয়ক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার শিক্ষা গ্রহণ। যে নারী এগুলো খেয়াল করে না, তাকে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। মানুষ তাকে ঘৃণা করে। পক্ষান্তরে যে মেয়ে এগুলো খেয়াল রাখে, লোকে তার তারিফ করে, সম্মান করে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে...

❝গল্প লেখার কৌশল❞

Image
লেখাটা “কীভাবে গল্প লিখবো” সেটা নিয়ে নয়। বরং “কীভাবে লিখতে হয়,” তা নিয়ে। যেমন ধরুন, আপনাকে একটা ঘর বানাতে বলা হলে আপনি কী কী বানাবেন? মেঝে, চারটা দেয়াল, ছাদ, জানালা, দরজা। যদি, আপনি খুব সুন্দর করে শুধু চারটা দেয়াল বানালেন। তাকে কী আমরা ঘর বলবো? কিংবা শুধু একটা দরজা বা কয়েকটা জানালা দিয়ে কী ঘর বানানো যায়? যায় না। যদি গল্প লেখাকে একটা ঘর ভাবি, তাহলে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এরও একটা মেঝে, চারটা দেয়াল, ছাদ, জানালা আর দরজা আছে। মানে একটা কাঠামো আছে। যেটা ছাড়া একটা “গল্প”, গল্প হয়ে ওঠে না। ঘরের সাথে তুলনা করলে বলা যায়, মেঝে হচ্ছে গল্পের প্লট। যার উপর গল্পটা অবস্থান করে। চারদিকের চারটা দেয়াল হচ্ছে কাহিনি। ছাদটাকে প্রধান চরিত্র (নায়ক/নায়িকা) ভাবতে পারি। জানালা হচ্ছে ছোট ছোট চরিত্রগুলো। আর দরজা প্রধান পার্শ্ব চরিত্র। আর... ঘরটাকে কত সুন্দরভাবে রং করতে পারবো, কত সুন্দরভাবে সাজাতে পারবো, সেটা হচ্ছে বর্ণনাভঙ্গি বা গল্প বলার ঢং। আর বাকিগুলোর মতো এটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের চারপাশে তো হাজারটা ঘরবাড়ি। সবই কি আমাদের নজর কাড়ে? কাড়ে না। সুন্দর ডিজাইন আর সুন্দরভাবে রং করা আর সাজানো ঘরব...

কিয়ামতের দিন আরশের নিচে যারা পাবেন স্থান।

Image
আমরা মুসলিম সম্প্রদায়। পরকালে বিশ্বাসী। দুনিয়া ত্যাগ করার পরই ইহকাল শুরু হবে এটা বিশ্বাস রাখি। অর্থাৎ কবরের জিন্দেগী দ্বারা ইহকালের পরম সূচনা হবে। দুনিয়ার জীবন যদি নেক আমল দিয়ে সাজিয়ে যেতে পারি তাহলে কবরের জিন্দেগী হবে সুখ-শান্তিময়। জান্নাতের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হবে আমাদের কবর। অন্যথায় ভয়ঙ্কর শাস্তি দ্বারাই শুরু হবে আমাদের ইহকালের যাত্রা। জাহান্নামের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হবে আমাদের কবর। এতো গেল প্রথম ধাপের অতি অল্প কথা। দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে কবরের জিন্দেগী পরিসমাপ্ত হয়ে কেয়ামতের দিন কায়েম হবে। কিন্তু বিচার ব্যবস্থা শুরু হওয়ার পূর্বে আমাদের কিছুসময় কঠিন মুসিবতে পার করতে হবে। সেই কঠিন পরিস্থিতির সামান্য একটি উদাহরণ হচ্ছে, বর্তমানে সূর্য আর আমাদের মধ্যে দূরত্ব হচ্ছে প্রায় নয়শত মাইলের ব্যবধান। তারপরও যখন গরমের দিন সূর্যের তাপমাত্রা একটু বেড়ে যায়। আমাদের অবস্থা নাজুক হয়ে পরে। কখনো কখনো তো সহ্যের বাহিরেও চলে যায়। অথচ হাদিসে শরীফে এসেছে.. কিয়ামতের দিন সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সূর্য আমাদের মাথার মাত্র অর্ধহাত উপরে অবস্থান করবে। ভেবে দেখেছেন! তখন আমাদের অবস্থা কেমন হতে পারে? কিয়ামতের দিনের কঠ...

হাসির খুরাক এক সুস্থ বিনোদন।

Image
কিছু মহিলা মারা যাওয়ার পরও তার ভালোবাসার ভাগ অন্য কাউকে দিতে চায়না। আজ এরকম-ই একটি সুস্থ বিনোদনের কাহিনি বলব। এক স্ত্রী তার প্রিয়তম স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমি যখন মরে যাব! তখন তুমি দ্বিতীয় বিয়ের জন্য কতদিন অপেক্ষা করবে? স্বামী অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে উওর দিলেনঃ আমি তোমার কবর শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর আগে কখনোই বিয়ে করবো নাহ। স্ত্রী বললঃ এটা কি তুমি আমার সাথে ওয়াদা করতেছো! স্বামী বললঃ হ্যাঁ ওয়াদা করলাম। এর কিছুদিন পর হটাৎ তার স্ত্রী মারা গেলেন। তারপর থেকে তিনি বেশ কয়েকবছর ধরে উনার প্রিয়তমা স্ত্রীর কবর জিয়ারত করেন। এবং একটা দীর্ঘসময় পার হওয়ার পরও একটি জিনিস লক্ষ করলেন, কবরটি এখনো শুকায়নি! অনেকদিন পর হটাৎ একদিন সন্ধ্যাবেলায় উনি জিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে আসলেন। এবং সেখানে এসে তার প্রিয়তমা স্ত্রীর ভাইকে পেলেন। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি এখানে কি করো! তখন সে বললঃ আমি আমার বোনের শেষ অসিয়্যাতটি পূরণ করতে এসেছি।  তিনি আমাকে বলে গিয়েছিলেন তার মৃত্যুর পর যেন প্রত্যেকদিন তার কবরের উপর পানি ছিটিয়ে দেই। 😄 

নামাজের প্রতি সালেহীনরা কেমন যত্নশীল ছিলেন!

Image
আজকাল নামাজের প্রতি আমাদের কত গাফলতি আর অমনোযোগী। সেটা বলার বাহিরে চলে গেছে। আসুন সালেহীনদের দুটি অনুপ্রেরণামূলক বানী পড়ি! 🌴 يقول ابن الجوزي (رحمه الله): رأيتُ عجوزاً تتوضأ قبل الظهر بدقائق فسألتها: هل أذَّنَ؟ فقالتْ: أنا أذهبُ إلى الله قبل أن يُناديني! ইবনে জাওযী রহঃ বলেন, আমি জোহরের ওয়াক্তের আগে একজন বৃদ্ধকে ওজু করতে দেখেছিলাম। তাই তাকে জিজ্ঞেস করলাম আজান কি হয়ে গিয়েছে! তখন সেই বৃদ্ধলোক আমাকে বললেন, আমি আল্লাহর নিকট যেতে চাই তিনি আমাকে ডাকার আগেই। 🌴 و‌‎سئل أحد الصالحين: لماذا تذهب إلى المسجد قبل الآذان؟ فقال: الآذان لتنبيه الغافلين و أرجو ألا أكون منهم".   [التبصرة لابن الجوزي، ١٣١ ] একজন সালেহীনকে জিজ্ঞেস করা হল! আপনি আজানের পূর্বে কেন মসজিদে যান? তখন তিনি উওর দিলেন, আযান তো হচ্ছে গাফিলদের (অলসদের) জন্য। আর আমার আশা আমি যেন তাদের মধ্যে না  হই। সুবহানাল্লাহ নামাজের প্রতি তাদের কত মনোযোগ আর গুরুত্ব ছিল! অথচ আজ আমরা সামান্য সুযোগ পেলেই নামাজ কাযা করে ফেলি। আল্লাহ আমাদেরকে সালফে সালেহীনদের মত হওয়ার এবং প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত আদায় করার...

মৃত্যু নিয়ে ইনবক্সে আসা একটি মেসেজ।

Image
মৃত্যু নিয়ে লেখা কথাগুলো খুব সুন্দর এবং উপকারী ছিল। আমরা মৃত্যুর কথা ভুলে যাই অথচ মৃত্যু আমাদের খুবই নিকটে। মুমিনের সবসময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা অতি প্রয়োজন। অথচ আমরা দুনিয়ার সমস্ত সুখ-শান্তির স্বপ্নে বিভোর হয়ে পরকালের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ভুলেই যাই! সুন্দরই ছিল লেখাটি কিন্তু মৃত্যু নিয়ে লেখা সেই মেসেজটির শেষের প্যারাটা আমার কাছে অন্যরকম লাগলো! সেটা এরকম ছিল.... " 90% লোক এই মেসেজটি ফরওয়ার্ড করেনি। কিন্তু তুমি নিশ্চয় করবে। কারণ আল্লাহর দিনের খবর দিতে দেরি করতে নেই। অবশ্য যে আল্লাহর কাজে লেগে যায় আল্লাহ নিজে তার কাজে লাগে" আচ্ছা এগুলো লেখার মানে কি এটা নয়! মানুষের আবেগকে পূঁজি করে অর্থাৎ মানুষকে ইমোশনালভাবে ব্লাকমেইল করে লেখাটি বেশি বেশি ফরওয়ার্ড করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ? অধিকাংশ সময় দেখা যায় এই টাইপের বিভিন্ন লেখা ভাইরাল হয়। কখনো ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আবার কখনো ম্যাসেঞ্জারে মেসেজের মাধ্যমে। তবে এ ব্যাপারে বিজ্ঞ মহলের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি এইগুলোর মুলত কোনো ভিত্তি নেই। কিছু মানুষ ধর্মকে পূঁজি করে এইগুলো ভাইরাল করতে চায়। তাদের মুলত নিয়ত ...

জাতির দুঃসময়ে আলেম'রাই সর্বপ্রথম পাশে আসে।

Image
করোনা ভাইরাসের এই মর্মান্তিক মহামারীতে গুটা বিশ্ব আজ আতংকিত। ভাইরাসে আক্রান্তীত মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে সংক্রমণের ভয়ে আপন আত্নীয় সজনও পাশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। আর গরীব দুঃখী পরিবারের মানুষরা লকডাউনে যখন খাদ্য শূন্যতার অভাবে দিনপাত কাটাচ্ছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন না পারছে নিজের দুঃখ-কষ্টের কথা কাউকে বলতে আবার না পারছে মুখগুটিয়ে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকতে। পথশিশু, ভিক্ষুক, ৩য় শ্রেণির, কথা আর নাই'বা বললাম! এদিকে সরকারের কথা আর কি বলবো! সরকার সাধ্যানুযায়ী যা-কিছুই দিয়েছিল এইকিছু দিনে মানুষ জেনে গেছে অর্ধেক ডুকেছে চেয়ারম্যান ও সংলিষ্টদের পকেটে আর অর্ধেক কোনরকম কাটশাট করে হয়তো কিছু মানুষ পেয়েছে। যা নিত্যপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আমার কাছে কমই বলে মনে হয়। অথচ কিছু মানুষকে আমরা অতীতে দেখেছি রাস্তায় রাস্তায় মানবতার স্লোগান দিয়ে পুরো আশপাশ কাপিয়ে দিতে কিন্তু এই ভয়াল সময়ে তাদেরকেও তেমন নজরে পরেনি। কিন্তু বাংলাদেশ এখন কিছু আসল মানবতার ফেরিওয়ালাদেরকে দেখতেছে। আলহামদুলিল্লাহ জাতির এই ক্লান্তলগ্নে মানুষ আজ আসল মানবাধিকার কর্মীদের খুঁজে পেয়েছে। অথচ টিভির পর্দাতে আর বিরিয়ানির পকেট দেওয়ার আশ্বাসে কিছু প...

মুমিন দুনিয়ার চেয়ে আখেরাতকে বেশি প্রাধান্য দেয়।

Image
দুনিয়ার এই ধন-সম্পদের লোভ লালসা আর পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের আকাঙ্খার চেয়ে আখেরাতের নিয়ামতগুলাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ। কারণ দুনিয়ার এই সুখশান্তি ক্ষণস্থায়ী যা কখনো স্থায়ী হয়না। আর আখেরাতের নিয়ামতগুলা হবে চিরস্থায়ী। এবং ইচ্ছা স্বাধীন। যখন যা প্রয়োজন হবে তা মুখে উচ্চারণ করার আগেই সামনে হাজির হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ।

সালাফদের মধ্যে আর আমাদের মধ্যে কত বড় পার্থক্য!

Image
রামাদান মাস শেষ হওয়া মাত্রই আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। অনেকে তো এটা মনে করি যে, আহ এই একটা মাস সারাদিন উপবাস থেকে কত কষ্ট করেছি! এখন নাহয় একটু শান্তি পেলাম দিনের বেলা উদর ভরে খেলেও আর কোনো সমস্যা নেই। শান্তির দিন চলে এসেছে এখন মন যা চায় তাই করতে পারবো। আরও কত সুখচিন্তা! অথচ সালাফদের (অর্থাৎ সালফে সালিহিন) জীবনী তালাশ করলে পাওয়া যার এর ব্যতিক্রম ও আশ্চর্যজনক ভিন্নকিছু। তাদের যখন রামাদান মাস শেষ হয়ে যেত তখন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পরতেন। আমি কি রামাদানে আমার গোনাহগুলো থেকে মুক্তি পেয়েছি? আল্লাহ কি মাফ করে দিয়েছেন? রামাদানের পূর্ণ ফজিলত কি আমি অর্জন করতে পেরেছি? এরকম পূর্ণময় মাস কি আমার জীবনে আবার আসবে? এরকম হাজারো চিন্তা-ভাবনায় তারা রামাদান শেষ হওয়ার পর থেকে একাধারে পুরো ছয়টা মাস কাটিয়ে দিতেন। আর পরবর্তী ছয় মাস তারা দ্বিতীয় রামাদানের প্রস্তুতি নিতে নিতে কাটিয়ে দিতেন। সুবহানাল্লাহ তাদের চিন্তাধারা কোথায় আর আমারা কোথায়? আল্লাহর নেক বান্দারা এভাবেই পুরো বৎসর অতিবাহিত করে দিতেন। আহ আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে চাই অথচ তাদের অনুসরণ করিনা! আমাদের মত হতভাগা আর কে হতে পারে এই দুনিয়ায়? ...

ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত।

Image
তুমি ইসলামের পথে আসলে তুমিই বিজয়ী হবে। এমনটা নয় যে, তুমি ছাড়া ইসলাম বিজয়ী হবেনা। বরং দ্বীনের পথে ফিরে না আসলে মূলত তুমিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং তোমাকে সাথে নিয়ে অথবা তোমাকে ছাড়াই ইসলাম বিজয়ী হবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেন, "নিশ্চয় আল্লাহর কাছে মনোনীত ধর্ম একমাত্র ইসলাম"। "মহানবী (সাঃ) এর জীবন তোমাদের জন্য উওম আদর্শ"। (আল-কোরআন) 

শবে বরাত; মুক্তির রজনী

Image
শবে বরাত এটি হচ্ছে একটি ফার্সি শব্দ (শবে বারাআত) যার বাংলা অর্থঃ মুক্তির রজনী। এই রাতটি নিঃসন্দেহে একটি বরকতময় রাত। হাদিসে এ রাতের অসংখ্য ফজিলত বর্ননা করা হয়েছে। তারমধ্যে একটি হাদিস হচ্ছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ শবে বরাতের রাতটি এমন একটি রাত, যে রাতে আল্লাহ তায়া’লা দুনিয়ার সর্বশেষ আসমানে নেমে আসেন। এবং বান্দাদেরকে মাফ করে দেন। অন্য হাদিসে আরো চমৎকারভাবে এসেছে আল্লাহ তায়া’লা সর্বশেষ আসমানে এসে বান্দাদেরকে ডাকতে থাকেন। আছো কি এমন কেউ ক্ষমা চাওয়ার? আজ আমি ক্ষমা করে দিব। আছো কি এমন কেউ রোগমুক্তি চাওয়ার? আজ আমি রোগমুক্ত করে দিব। সুবহানাল্লাহ কি সুবর্ণ সুযোগ! তাই আসুন আমরা ফজিলতপূর্ণ এই রাত্রিতে নিজের জীবনের সমস্ত গোনাহের কথা স্বরণ করে করে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করি। এবং "করোনা ভাইরাস" নামক এই প্রাণঘাতী মহামারী, যা নিশ্চয় আমাদের পাপের কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি গজব। তাই এ মহামারী থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ তায়া’লার কাছে বেশি বেশি দোয়া করি। সাথে সাথে পবিত্র কুরআন শরীফের তেলাওয়াত এবং নফল নামাজ আদায় করতে পারি। আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন।