সালাফদের মধ্যে আর আমাদের মধ্যে কত বড় পার্থক্য!

রামাদান মাস শেষ হওয়া মাত্রই আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। অনেকে তো এটা মনে করি যে, আহ এই একটা মাস সারাদিন উপবাস থেকে কত কষ্ট করেছি! এখন নাহয় একটু শান্তি পেলাম দিনের বেলা উদর ভরে খেলেও আর কোনো সমস্যা নেই। শান্তির দিন চলে এসেছে এখন মন যা চায় তাই করতে পারবো। আরও কত সুখচিন্তা!

অথচ সালাফদের (অর্থাৎ সালফে সালিহিন) জীবনী তালাশ করলে পাওয়া যার এর ব্যতিক্রম ও আশ্চর্যজনক ভিন্নকিছু। তাদের যখন রামাদান মাস শেষ হয়ে যেত তখন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পরতেন। আমি কি রামাদানে আমার গোনাহগুলো থেকে মুক্তি পেয়েছি? আল্লাহ কি মাফ করে দিয়েছেন? রামাদানের পূর্ণ ফজিলত কি আমি অর্জন করতে পেরেছি? এরকম পূর্ণময় মাস কি আমার জীবনে আবার আসবে? এরকম হাজারো চিন্তা-ভাবনায় তারা রামাদান শেষ হওয়ার পর থেকে একাধারে পুরো ছয়টা মাস কাটিয়ে দিতেন। আর পরবর্তী ছয় মাস তারা দ্বিতীয় রামাদানের প্রস্তুতি নিতে নিতে কাটিয়ে দিতেন। সুবহানাল্লাহ তাদের চিন্তাধারা কোথায় আর আমারা কোথায়?

আল্লাহর নেক বান্দারা এভাবেই পুরো বৎসর অতিবাহিত করে দিতেন। আহ আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে চাই অথচ তাদের অনুসরণ করিনা! আমাদের মত হতভাগা আর কে হতে পারে এই দুনিয়ায়?

আল্লাহ আমাদেরকে সালফে সালিহীনদের জীবনী থেকে শিক্ষা অর্জন করে সেভাবেই জীবন কাটানোর তাওফিক দান করুন। আমিন। 

Comments

Popular posts from this blog

আত্মার ব্যাধি ও প্রতিকার

জাতির দুঃসময়ে আলেম'রাই সর্বপ্রথম পাশে আসে।

মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর