জাতির দুঃসময়ে আলেম'রাই সর্বপ্রথম পাশে আসে।
করোনা ভাইরাসের এই মর্মান্তিক মহামারীতে গুটা বিশ্ব আজ আতংকিত। ভাইরাসে আক্রান্তীত মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে সংক্রমণের ভয়ে আপন আত্নীয় সজনও পাশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। আর গরীব দুঃখী পরিবারের মানুষরা লকডাউনে যখন খাদ্য শূন্যতার অভাবে দিনপাত কাটাচ্ছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন না পারছে নিজের দুঃখ-কষ্টের কথা কাউকে বলতে আবার না পারছে মুখগুটিয়ে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকতে। পথশিশু, ভিক্ষুক, ৩য় শ্রেণির, কথা আর নাই'বা বললাম!
এদিকে সরকারের কথা আর কি বলবো! সরকার সাধ্যানুযায়ী যা-কিছুই দিয়েছিল এইকিছু দিনে মানুষ জেনে গেছে অর্ধেক ডুকেছে চেয়ারম্যান ও সংলিষ্টদের পকেটে আর অর্ধেক কোনরকম কাটশাট করে হয়তো কিছু মানুষ পেয়েছে। যা নিত্যপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আমার কাছে কমই বলে মনে হয়। অথচ কিছু মানুষকে আমরা অতীতে দেখেছি রাস্তায় রাস্তায় মানবতার স্লোগান দিয়ে পুরো আশপাশ কাপিয়ে দিতে কিন্তু এই ভয়াল সময়ে তাদেরকেও তেমন নজরে পরেনি।
কিন্তু বাংলাদেশ এখন কিছু আসল মানবতার ফেরিওয়ালাদেরকে দেখতেছে। আলহামদুলিল্লাহ জাতির এই ক্লান্তলগ্নে মানুষ আজ আসল মানবাধিকার কর্মীদের খুঁজে পেয়েছে। অথচ টিভির পর্দাতে আর বিরিয়ানির পকেট দেওয়ার আশ্বাসে কিছু পুলাপাইনকে জমা করে যারা হক্কানি উলামায়ে কেরামগনের বিরুদ্ধে যাদের চুলকানি একটু বেশিই ছিল আজ সেই উলামায়ে দেওবন্দ প্রতিটা গরীব দুঃখিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভয়ভীতি আর নিজের জীবনের মায়াকে বিসর্জন দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় আর পাড়ায় পাড়ায় খুঁজখরব নিচ্ছেন অভাবগ্রস্থ মানুষের। ত্রান বিতরণ, রামাদান সামগ্রী এবং ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেও থেমে থাকেননি এখনো অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উম্মাহের সিংহপুরুষ কিছু উলামায়ে কেরাম ও মানবাধিকার কর্মীরা।
এই ভয়াল দুর্দিন একসময় শেষ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ কিন্তু উলামায়ে কেরামগনের এই প্রশংসনীয় কাজ মানুষের অন্তরে গেঁথে থাকবে আজীবন। আল্লাহ তাদের এই এখলাসপূর্ণ পরিশ্রমকে কবুল করুন। এবং তাদের সাথে যারা সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের কেও আল্লাহ উওম বিনিময় দান করুন। আমিন।
Comments
Post a Comment