Posts

আত্মার ব্যাধি ও প্রতিকার

Image
আমাদের আত্মার ব্যাধিগুলোর অন্যতম একটি ব্যাধি হচ্ছে, অন্যকে হিংসা করা। কারো কোন কর্মে জেলাসি ফিল করা। ভাবছেন এই আত্মার রোগ কিভাবে নির্ণয় করবেন? খুবই সহজ পদ্ধতি, যখন দেখবেন অন্যের ভালো কাজগুলো দেখে আপনার অসহ্য লাগছে! বা অন্যের ভালো কাজের কিংবা উন্নতির স্বীকৃতি দিতে আপনার মন সায় দিচ্ছেনা! ঠিক তখনই বুঝে নিবেন আপনার অন্তর এই ভয়াবহ আত্মিক রোগে আক্রান্ত। যা আপনাকে প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে অস্বস্তি দিচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভবত এ থেকে মুক্তির উপায় হলো, অন্যের প্রতি আপনার অন্তরে যত ক্ষোভ, হিংসা, খারাপ ভাবনা আছে! যেগুলো একদম ঝেড়ে ফেলুন। এবং নিজেকে সবসময় পজেটিভ চিন্তা ভাবনায় লিপ্ত রাখুন। সাথে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে এই মানসিক রোগ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করুন। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আপনি এ-থেকে মুক্তি পাবেন। #হিংসা #মানসিক_রোগ #পজেটিভ_ভাবনা

সময়ের গুরুত্ব

Image
সময়ের প্রতি যত্নশীল হোন। জীবনের এই সংক্ষিপ্ত যাত্রায় প্রতিটা সেকেন্ড আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্ষুদ্র এই জীবন থেকে এক সেকেন্ড অতিবাহিত হওয়া মানে একটি সেকেন্ডকে চিরতরে হারিয়ে ফেলা। চাইলেও সেই হারিয়ে যাওয়া সময়কে ফেরানো সম্ভব নয়। জীবনে যারা সফল হয়েছেন! তাদের জীবনে খুঁজে পাওয়া যায়, সময়ের প্রতি অপরিসীম গুরত্বের কথা। তারা কখনো অযথা সময় নষ্ট করেননি। আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু শয়তান। এই শয়তান আমাদেরকে বিভিন্ন কুমন্ত্রণা দিয়ে নানান অহেতুক কাজে লিপ্ত করে রাখে। জীবনের এই বড় শত্রুকে চিনতে শিখুন। তার পাতানো ফাঁদে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবেন না। জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোকে কাজে লাগান, সফল হোন। #সময় #জীবন #সময়ের_গুরুত্ব #জীবনের_গল্প

মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর

Image
কদর একটি আরবি শব্দ। অভিধানে এর দুটি অর্থ পাওয়া যায়। একটি 'সম্মানিত' অপরটি 'সংকীর্ণকরণ' তবে প্রথম অর্থটিই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ লাইলুন শব্দের অর্থ যদি রাত হয়! আর কদর অর্থ যদি সম্মানিত হয় তাহলে তার অর্থ দাঁড়ায়; সম্মানিত রাত। কোনআন ও হাদিসে এই সম্মানিত বা মর্যাদাপূর্ণ রাতের অসংখ্য-অগণিত ফজিলত বর্ননা হয়েছে। এই রাত্রি সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বর্নিত হয়, "লাইলাতুল কদর (কদরের রাত্রি) এমন একটি রাত্রি; যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম" (সুরা আল কদর-৩) হাদিসে নববীতে শবে কদরের রাত্রি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "তোমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে যে মাসটি! তাতে এমন একটি রাত্রি রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। সুতরাং এই ফজিলতপূর্ণ রাত্রি থেকে যে বঞ্চিত হলো! সে যেন সমস্ত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো...। (সহিহ ইবনে মাজাহ-১৩৪১) অপর এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সা. এই রাত্রিটি রমজানের কোন রাত্রি হবে তাও বলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, "তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল কদরকে (শবে কদরকে) অন্বেষণ করো।" (সহিহ বুখারী-২০১৭) অর্থাৎ এই হাদিস থেকে...

ইয়াওমে গাযওয়ায়ে বদর; বদর যুদ্ধ দিবস

Image
আজ ইসলামের প্রথম সফলতা অর্জনের ঐতিহাসিক বদর দিবস। মাহে রমজানে যে বছর মদিনায় প্রথম সিয়াম পালিত হয়, সেই দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ রমজান ৬২৪ খ্রিস্টাব্দ সংঘটিত হয়েছিল বদর যুদ্ধ। এক হাজার সশস্ত্র মুশরিক সৈন্যদের সাথে লড়েছিলেন মাত্র তিনশো তেরোজন আসহাবে রাসুল সা.। ঈমানি বলে বলীয়ান থাকায় সাহাবী'রা পেয়েছিলেন আল্লাহর বিশেষ সাহায্য। আর এই বিশেষ (কুদরতি) সাহায্যের সাথে কী দুনিয়ার কোন পরাশক্তি মোকাবেলা করার সক্ষমতা রাখে? মোটেও নাহ। অবশেষে অবিশ্বাসীদের সাথে বিশ্বাসী সাহাবী'রা বদরে ঐতিহাসিক জয়লাভ করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এখন এমন কিছু লোক বের হয়েছে, যাদের সম্মুখে ইসলামের সেই সোনালী দিনগুলোর কথা আলোচনা করলেই তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়! কখনো কখনো তো এরা অবজ্ঞার সুরে এটাও বলে বসে, এগুলো নাকি প্রাচীন যুগের কথা! (নাউজুবিল্লাহ!) আসলে এদের মন ও মস্তিষ্কে শয়তান প্রস্রাব করে দিয়েছে তাই ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পশ্চিমাদের চোখে দেখার চেষ্টা করে এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা অতিরিক্ত প্রভাবিত হওয়ায় এদের অন্তরে একপ্রকার জটিল ব্যধিও সৃষ্টি হয়েছে। আল্...

ইস্তেগফারের ফজিলত

Image
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি যত্নের সহিত যথাযথভাবে ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তা'য়ালা তাকে সমস্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন। এবং সকল বিপদাপদ থেকে হেফাজতে রাখেন। এমনকি তার রিযিকের ব্যবস্থা এমন জায়গা থেকে করে দেন যে ব্যবস্থা সম্পর্কে ইতিপূর্বে তার ধারণাই ছিলনা। (আবু দাউদ) (কিছু ইস্তেগফার, সাথে বাংলা উচ্চারণ) أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتوبُ إِلَيْهِ [আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি] . অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তাঁর নিকট তাওবাহ্ করছি। اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ . [আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন কারীম, তু‘হিব্বুল ‘আফওয়া ফা’অ্ফু ‘আন্নী] . অর্থ: হে আল্লাহ্! তুমি ক্ষমাশীল, মহানুভব! তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও। ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻻَ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻰُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ ﻭَﺃَﺗُﻮْﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ . [আসতাগফিরুল্লাহ আল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল ‘হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি] . অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ব্যতীত...

মানবসেবায় এগিয়ে আসুন! হাসিমুখে রক্ত দিন।

Image
মানব শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো বান্দার প্রতি আল্লাহ তা'আলার এক অশেষ নিয়ামত। তারমধ্যে রক্ত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ামত। মানুষ একদম রক্তশূণ্য হয়ে গেলে আর বেঁচে থাকতে পারেনা। আবার অতিরিক্ত রক্ত হয়ে গেলে বা রক্তচাপ বেড়ে গেলে কখনো কখনো অনেক বড় বিপদে পরে যাওয়ার আশংকা হয়। বিশেষত প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ একে অন্যের কাছে রক্ত চায়। জটিল সমস্যায় ভুক্তভোগী হয়েই মানুষ রক্তের প্রয়োজনবোধ করে। অনেকেই ভাবে আমি অন্যকে রক্ত দিলে হয়তো আমার রক্ত কমে যাবে! আসলে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। মানবদেহে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি রক্ত থাকে। তাই রক্তশূন্যতায় ভুগবেন এমন ভাবনা মোটেই সঠিক নয়। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, আমরা অনেকেই রক্ত দান করে আত্মতৃপ্তির সর্বশেষ পর্যায়ে চলে যাই! অথচ এখানে এত অতিরিক্ত কোনো কিছু ভাবার বিশেষ কোনো কারণ নেই। কারণ রক্ত আল্লাহ তা'আলার মহান অনুগ্রহের একটি অনুগ্রহ এবং এই নিয়ামতের একক মালিক হচ্ছেন মহান রাব্বুল আ'লামীন। সুতরাং এটি বিক্রি করে বিনিময় গ্রহণ করা যেরকম হারাম। ঠিক সেই-রকম অন্যকে দান করে আনন্দে আত্মহারা হওয়াও না-জায়েজ ও গোনাহের কাজ। শুধু এতটুকু ভাবা যেতে পারে! আমি আল্লাহর এক...

দান সদকাহ মানুষকে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি দেয়।

Image
জনৈক ব্যক্তির বাড়ির পাশে ছিলো একটি গাছ। গাছে ছিলো একটি পাখির বাসা। বাসায় পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলত। লোকটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন পাখিটি হযরত সোলায়মান আ.-এর কাছে অভিযোগ দায়ের করলো। সোলায়মান আ. লোকটিকে ডেকে নিষেধ করলেন। নিষেধ অমান্য করে আবারো লোকটি পাখির ডিম খেয়ে ফেললো। নিরুপায় হয়ে পাখিটি পুনরায় সোলায়মান আ.-এর কাছে অভিযোগ করলো। এবার সোলায়মান আ. এক জিনকে নির্দেশ দিলেন, লোকটি আবার যখন গাছে চড়বে, তখন খুব জোরে তাকে ধাক্কা দিয়ে যেন নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এতে ভয় পেয়ে যেনো লোকটি আর কোনোদিন গাছে চড়তে না পারে। আরেকদিন লোকটি পাখির ডিমের জন্য গাছে উঠতে যাবে, এমন সময় এক অভাবি লোক এসে হাঁক দিল বাবা! কিছু ভিক্ষা দিন। তখন লোকটি প্রথমে ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। তারপর শান্ত মনে গাছ থেকে ডিম নামিয়ে খেয়ে ফেলল। পাখিটি আবার সোলায়মান আ.-এর কাছে অভিযোগ করলো। সোলায়মান আ. সেই জিনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নির্দেশ পালন করলে না কেন? জিন জবাব দিল, আমি আপনার নির্দেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম; এমন সময় পূর্ব ও পশ্চিম থেকে দু'জন ফেরেস্তা এসে আমাকে অনেক দূরে ফেলে দিল। সোল...

মানসিক প্রশান্তি অর্জনের প্রধান তিনটি মাধ্যম।

Image
(১) উত্তমভাবে নামাজ আদায় করা: . রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন— يا بلالُ أقمِ الصلاةَ، أرِحْنا بها يا بلالُ أقمِ فَرِحْنا بالصلاةَ . ‘‘হে বিলাল! (আজানের মাধ্যমে) নামাজ কায়েম করো। আমরা নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করবো।’’ [আবু দাউদ, আস-সুনান: ৪৯৮৫-৪৯৮৬; হাদিসটি সহিহ] . (৩) কুরআন তিলাওয়াত করা: . নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে দু‘আ করতেন— . اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ، وَنُوْرَ صَدْرِيْ، وَجَلَاءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّيْ . আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা আন তাজ‘আলাল কুরআ-না রাবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূ-রা সদরী, ওয়া জালা-আ ‘হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী (সতর্কতা: শুধু বাংলা দেখে কখনও বিশুদ্ধ উচ্চারণ শেখা যাবে না) . অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার নিকট চাই, যেন তুমি কুরআনকে করে দাও আমার হৃদয়ের বসন্ত (আগ্রহ-ভালোবাসা); আমার বক্ষের জন্য আলো; আমার দুশ্চিন্তার নির্বাসন এবং আমার পেরেশানি-দূরকারী। [আহমাদ, আল-মুসনাদ: ৩৭১২; আলবানি, সিলসিলা সহিহাহ: ১৯৯, হাদিসটি সহিহ] . ৩. আল্লাহর যিকর করা: . আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন— . أَلآ بِذِكْرِ اللّٰهِ تَطْ...