ইয়াওমে গাযওয়ায়ে বদর; বদর যুদ্ধ দিবস


আজ ইসলামের প্রথম সফলতা অর্জনের ঐতিহাসিক বদর দিবস। মাহে রমজানে যে বছর মদিনায় প্রথম সিয়াম পালিত হয়, সেই দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ রমজান ৬২৪ খ্রিস্টাব্দ সংঘটিত হয়েছিল বদর যুদ্ধ। এক হাজার সশস্ত্র মুশরিক সৈন্যদের সাথে লড়েছিলেন মাত্র তিনশো তেরোজন আসহাবে রাসুল সা.। ঈমানি বলে বলীয়ান থাকায় সাহাবী'রা পেয়েছিলেন আল্লাহর বিশেষ সাহায্য। আর এই বিশেষ (কুদরতি) সাহায্যের সাথে কী দুনিয়ার কোন পরাশক্তি মোকাবেলা করার সক্ষমতা রাখে? মোটেও নাহ। অবশেষে অবিশ্বাসীদের সাথে
বিশ্বাসী সাহাবী'রা বদরে ঐতিহাসিক জয়লাভ করেন।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এখন এমন কিছু লোক বের হয়েছে, যাদের সম্মুখে ইসলামের সেই সোনালী দিনগুলোর কথা আলোচনা করলেই তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়! কখনো কখনো তো এরা অবজ্ঞার সুরে এটাও বলে বসে, এগুলো নাকি প্রাচীন যুগের কথা! (নাউজুবিল্লাহ!) আসলে এদের মন ও মস্তিষ্কে শয়তান প্রস্রাব করে দিয়েছে তাই ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পশ্চিমাদের চোখে দেখার চেষ্টা করে এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা অতিরিক্ত প্রভাবিত হওয়ায় এদের অন্তরে একপ্রকার জটিল ব্যধিও সৃষ্টি হয়েছে। আল্লাহ তায়া’লা পূর্ণ হেদায়ত দান করুন।

আমাদের জন্য আবশ্যক অর্থাৎ তাওহিদে বিশ্বাসী প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক 'নববী যুগ ও সাহাবায়ে কেরামদের সোনালী যুগ' থেকে শিক্ষা অর্জন করা। তাদের পথ অনুসরণ করেই জীবন পরিচালনা করা। নিজেদের দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য অর্জনের জন্য এর বিকল্প নেই। আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে বদরি চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার তাওফিক দান করুন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুন্নতে নববী অনুসরণের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Comments

Popular posts from this blog

আত্মার ব্যাধি ও প্রতিকার

জাতির দুঃসময়ে আলেম'রাই সর্বপ্রথম পাশে আসে।

মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর