দ্বীনি (ইসলামী) শিক্ষা অর্জন করা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ তা এই একটি হাদিস থেকেই অনুধাবন করা যায়।
হজরত আবু দারদাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন-
منْ سَلَكَ طَريقًا يَبْتَغِي فِيهِ علْمًا سهَّل اللَّه لَه طَريقًا إِلَى الجنةِ، وَإنَّ الملائِكَةَ لَتَضَعُ أجْنِحَتَهَا لِطالب الْعِلْمِ رِضًا بِما يَصْنَعُ، وَإنَّ الْعالِم لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ منْ في السَّمَواتِ ومنْ فِي الأرْضِ حتَّى الحِيتانُ في الماءِ، وفَضْلُ الْعَالِم عَلَى الْعابِدِ كَفَضْلِ الْقَمر عَلى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ، وإنَّ الْعُلَماءَ وَرَثَةُ الأنْبِياءِ وإنَّ الأنْبِياءَ لَمْ يُورِّثُوا دِينَارًا وَلا دِرْهَمًا وإنَّما ورَّثُوا الْعِلْمَ، فَمنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحظٍّ وَافِرٍ . أخرجه الترمذي في سننه : رقم ٢٦٨٢ و اللفظ له ، و أبو داود في سننه , كتاب العلم : رقم ٣٦٤١ ; و ابن ماجه في سننه : رقم ٢٢٣
“যে ইলমের অন্বেষনে পথ ধরে অগ্রসর হয়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথকে সহজ করে দেন। আর ইলমের অন্বেষী যা (কিছু কষ্ট-ক্লেশ ও শ্রম বরদাস্ত) করে, তাতে ফিরেশতাকুল খুশি হয়ে তার জন্য অবশ্যই তাদের পালকগুলিকে বিছিয়ে দেয়। নিশ্চয়ই (একজন) আলেম (হল এমন মর্যাদাবান ব্যাক্তি) যার জন্য -আসমান সমূহে যারা আছে এবং জামিনে যারা আছে -এমনকি পানিতে (অবস্থিত) মাছ পর্যন্ত তার জন্য (আল্লাহ’র কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। আর (একজন বে-আলেম) আবেদের উপরে (একজন) আলেমের ফজিলত হল (তেমন) যেমন (তোমাদের কাছে) সকল তারকারাজির (আলোর) উপরে চাঁদের (আলোর) ফজিলত। নিশ্চই আলেমগণ হল নবীগণের ওয়ারিস (উত্তরাধিকারী)। আর অবশ্যই নবীগণ (কাউকে পার্থিব অর্থকড়ি) দ্বীনার ও দিরহামের ওয়ারিস বানিয়ে যান না। বরং তাঁরা ওয়ারিস বানান কেবলমাত্র ইলমের। কাজেই যে ব্যাক্তি তা আঁকড়িয়ে ধরলো, সে বিরাট ভাগ্যের জিনিস আঁকড়িয়ে ধরলো”।
Comments
Post a Comment