Posts

Showing posts from 2021

ইস্তেগফারের ফজিলত

Image
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি যত্নের সহিত যথাযথভাবে ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তা'য়ালা তাকে সমস্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন। এবং সকল বিপদাপদ থেকে হেফাজতে রাখেন। এমনকি তার রিযিকের ব্যবস্থা এমন জায়গা থেকে করে দেন যে ব্যবস্থা সম্পর্কে ইতিপূর্বে তার ধারণাই ছিলনা। (আবু দাউদ) (কিছু ইস্তেগফার, সাথে বাংলা উচ্চারণ) أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتوبُ إِلَيْهِ [আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি] . অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তাঁর নিকট তাওবাহ্ করছি। اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ . [আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন কারীম, তু‘হিব্বুল ‘আফওয়া ফা’অ্ফু ‘আন্নী] . অর্থ: হে আল্লাহ্! তুমি ক্ষমাশীল, মহানুভব! তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও। ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻻَ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻰُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ ﻭَﺃَﺗُﻮْﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ . [আসতাগফিরুল্লাহ আল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল ‘হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি] . অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ব্যতীত...

মানবসেবায় এগিয়ে আসুন! হাসিমুখে রক্ত দিন।

Image
মানব শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো বান্দার প্রতি আল্লাহ তা'আলার এক অশেষ নিয়ামত। তারমধ্যে রক্ত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ামত। মানুষ একদম রক্তশূণ্য হয়ে গেলে আর বেঁচে থাকতে পারেনা। আবার অতিরিক্ত রক্ত হয়ে গেলে বা রক্তচাপ বেড়ে গেলে কখনো কখনো অনেক বড় বিপদে পরে যাওয়ার আশংকা হয়। বিশেষত প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ একে অন্যের কাছে রক্ত চায়। জটিল সমস্যায় ভুক্তভোগী হয়েই মানুষ রক্তের প্রয়োজনবোধ করে। অনেকেই ভাবে আমি অন্যকে রক্ত দিলে হয়তো আমার রক্ত কমে যাবে! আসলে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। মানবদেহে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি রক্ত থাকে। তাই রক্তশূন্যতায় ভুগবেন এমন ভাবনা মোটেই সঠিক নয়। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, আমরা অনেকেই রক্ত দান করে আত্মতৃপ্তির সর্বশেষ পর্যায়ে চলে যাই! অথচ এখানে এত অতিরিক্ত কোনো কিছু ভাবার বিশেষ কোনো কারণ নেই। কারণ রক্ত আল্লাহ তা'আলার মহান অনুগ্রহের একটি অনুগ্রহ এবং এই নিয়ামতের একক মালিক হচ্ছেন মহান রাব্বুল আ'লামীন। সুতরাং এটি বিক্রি করে বিনিময় গ্রহণ করা যেরকম হারাম। ঠিক সেই-রকম অন্যকে দান করে আনন্দে আত্মহারা হওয়াও না-জায়েজ ও গোনাহের কাজ। শুধু এতটুকু ভাবা যেতে পারে! আমি আল্লাহর এক...

দান সদকাহ মানুষকে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি দেয়।

Image
জনৈক ব্যক্তির বাড়ির পাশে ছিলো একটি গাছ। গাছে ছিলো একটি পাখির বাসা। বাসায় পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলত। লোকটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন পাখিটি হযরত সোলায়মান আ.-এর কাছে অভিযোগ দায়ের করলো। সোলায়মান আ. লোকটিকে ডেকে নিষেধ করলেন। নিষেধ অমান্য করে আবারো লোকটি পাখির ডিম খেয়ে ফেললো। নিরুপায় হয়ে পাখিটি পুনরায় সোলায়মান আ.-এর কাছে অভিযোগ করলো। এবার সোলায়মান আ. এক জিনকে নির্দেশ দিলেন, লোকটি আবার যখন গাছে চড়বে, তখন খুব জোরে তাকে ধাক্কা দিয়ে যেন নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এতে ভয় পেয়ে যেনো লোকটি আর কোনোদিন গাছে চড়তে না পারে। আরেকদিন লোকটি পাখির ডিমের জন্য গাছে উঠতে যাবে, এমন সময় এক অভাবি লোক এসে হাঁক দিল বাবা! কিছু ভিক্ষা দিন। তখন লোকটি প্রথমে ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। তারপর শান্ত মনে গাছ থেকে ডিম নামিয়ে খেয়ে ফেলল। পাখিটি আবার সোলায়মান আ.-এর কাছে অভিযোগ করলো। সোলায়মান আ. সেই জিনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নির্দেশ পালন করলে না কেন? জিন জবাব দিল, আমি আপনার নির্দেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম; এমন সময় পূর্ব ও পশ্চিম থেকে দু'জন ফেরেস্তা এসে আমাকে অনেক দূরে ফেলে দিল। সোল...

মানসিক প্রশান্তি অর্জনের প্রধান তিনটি মাধ্যম।

Image
(১) উত্তমভাবে নামাজ আদায় করা: . রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন— يا بلالُ أقمِ الصلاةَ، أرِحْنا بها يا بلالُ أقمِ فَرِحْنا بالصلاةَ . ‘‘হে বিলাল! (আজানের মাধ্যমে) নামাজ কায়েম করো। আমরা নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করবো।’’ [আবু দাউদ, আস-সুনান: ৪৯৮৫-৪৯৮৬; হাদিসটি সহিহ] . (৩) কুরআন তিলাওয়াত করা: . নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে দু‘আ করতেন— . اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ، وَنُوْرَ صَدْرِيْ، وَجَلَاءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّيْ . আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা আন তাজ‘আলাল কুরআ-না রাবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূ-রা সদরী, ওয়া জালা-আ ‘হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী (সতর্কতা: শুধু বাংলা দেখে কখনও বিশুদ্ধ উচ্চারণ শেখা যাবে না) . অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার নিকট চাই, যেন তুমি কুরআনকে করে দাও আমার হৃদয়ের বসন্ত (আগ্রহ-ভালোবাসা); আমার বক্ষের জন্য আলো; আমার দুশ্চিন্তার নির্বাসন এবং আমার পেরেশানি-দূরকারী। [আহমাদ, আল-মুসনাদ: ৩৭১২; আলবানি, সিলসিলা সহিহাহ: ১৯৯, হাদিসটি সহিহ] . ৩. আল্লাহর যিকর করা: . আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন— . أَلآ بِذِكْرِ اللّٰهِ تَطْ...

রাগান্বিত অবস্থায় শিশুকে প্রহার করা উচিত নয়। মুফতি তকী উছমানী হাফিঃ

Image
হযরত থানভী রাহ. বলেন, ‘রাগান্বিত অবস্থায় কখনও শিশুকে প্রহার করবে না (পিতা ও উস্তাদ) উভয়ের জন্যই এই কথা)। রাগ প্রশমিত হওয়ার পর চিন্তা-ভাবনা করে শাস্তি দিবে। উত্তম শাস্তি হল ছুটি মওকুফ করে দেওয়া। শিশুর উপর এর খুব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। মিয়াজী ছাত্র প্রহারে এজন্য স্বাধীন হয়ে যান যে, তাকে প্রশ্ন করার কেউ থাকে না। শিশুর তো প্রশ্ন করার যোগ্যতাই নেই আর অভিভাবক মিয়াজীকে পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছেন এই বলে যে, ‘হাড্ডি আমাদের, আর চামড়া মিয়াজীর’! মনে রাখবে, যার অধিকার সম্পর্কে প্রশ্ন করার কেউ থাকে না তার সম্পর্কে প্রশ্নকারী স্বয়ং আল্লাহ। এমনকি কোনো যিম্মী (মুসলিম দেশের অমুসলিম নাগরিক, যার নিরাপত্তা মুসলিম শাসকের যিম্মায়) কাফিরের উপর যদি কোনো শাসক জুলুম করে তাহলে হাদীস শরীফে এসেছে যে, আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। (আনফাসে ঈসা পৃ. ১৭৩) শিশুদেরকে প্রহার করা অত্যন্ত ভয়াবহ শিশুদেরকে প্রহার করা খুবই ভয়াবহ। আমাদের পিতা হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ. বলতেন, অন্যান্য গুনাহ তো তওবার মাধ্যমে মাফ হতে পারে, কিন্তু শিশুদের উপর জুলুম করা হলে এর ক্ষমা পাওয়া খুবই জটিল। ক...

দ্বীনি (ইসলামী) শিক্ষা অর্জন করা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ তা এই একটি হাদিস থেকেই অনুধাবন করা যায়।

Image
  হজরত আবু দারদাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- منْ سَلَكَ طَريقًا يَبْتَغِي فِيهِ علْمًا سهَّل اللَّه لَه طَريقًا إِلَى الجنةِ، وَإنَّ الملائِكَةَ لَتَضَعُ أجْنِحَتَهَا لِطالب الْعِلْمِ رِضًا بِما يَصْنَعُ، وَإنَّ الْعالِم لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ منْ في السَّمَواتِ ومنْ فِي الأرْضِ حتَّى الحِيتانُ في الماءِ، وفَضْلُ الْعَالِم عَلَى الْعابِدِ كَفَضْلِ الْقَمر عَلى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ، وإنَّ الْعُلَماءَ وَرَثَةُ الأنْبِياءِ وإنَّ الأنْبِياءَ لَمْ يُورِّثُوا دِينَارًا وَلا دِرْهَمًا وإنَّما ورَّثُوا الْعِلْمَ، فَمنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحظٍّ وَافِرٍ . أخرجه الترمذي في سننه : رقم ٢٦٨٢ و اللفظ له ، و أبو داود في سننه , كتاب العلم : رقم ٣٦٤١ ; و ابن ماجه في سننه : رقم ٢٢٣ “যে ইলমের অন্বেষনে পথ ধরে অগ্রসর হয়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথকে সহজ করে দেন। আর ইলমের অন্বেষী যা (কিছু কষ্ট-ক্লেশ ও শ্রম বরদাস্ত) করে, তাতে ফিরেশতাকুল খুশি হয়ে তার জন্য অবশ্যই তাদের পালকগুলিকে বিছিয়ে দেয়। নিশ্চয়ই (একজন) আলেম (হল এমন মর্যাদাবান ব্যাক্তি) যার জন্য -আসমান সমূহে যারা আছে এবং জামিনে যারা আছে -এমন...

ছাত্র জমিয়ত নছিরগঞ্জ শাখার পক্ষ থেকে মাওঃ জুয়েল- কে বিদায়ী সংবর্ধনা।

Image
  গত ১১/০৯/২০২১ইং রোজঃ শনিবার, বাদ মাগরিব। স্থানীয় নছিরগঞ্জ বাজারে #ছাত্র_জমিয়ত_নছিরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভা ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় ছাত্র জমিয়ত হাজীপুর ইউ'পি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র জমিয়ত নছিরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল মাওঃ সাইফুল ইসলাম জুয়েল-কে উনার প্রবাস গমন উপলক্ষে ছাত্র জমিয়ত নছিরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উক্ত আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনঃ ছাত্র জমিয়ত শরীফপুর ইউ'পি শাখার সহ-সভাপতি মাওঃ ফখরুল ইসলাম। ছাত্র জমিয়ত শরীফপুর ইউ'পি শাখার সভাপতি মাওঃ অলিউর রহমান। ছাত্র জমিয়ত নছিরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি ক্বারী মোঃ নাইমুল ইসলাম। ছাত্র জমিয়ত নছিরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সিনিয়র সদস্য মাওঃ শরীফুল ইসলাম। ছাত্র জমিয়ত নছিরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার প্রচার সম্পাদক মাওঃ হাসান আহমদ। ছাত্র জমিয়ত নছিরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সিনিয়র সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন। ছাত্র জমিয়ত নছিরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সহ-কোষাধ্যক্ষ মোঃ মাহিন আহমদ প্রমুখ। পরিশেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মাওঃ সাইফুল ইসলাম...