Posts

Showing posts from May, 2020

জাতির দুঃসময়ে আলেম'রাই সর্বপ্রথম পাশে আসে।

Image
করোনা ভাইরাসের এই মর্মান্তিক মহামারীতে গুটা বিশ্ব আজ আতংকিত। ভাইরাসে আক্রান্তীত মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে সংক্রমণের ভয়ে আপন আত্নীয় সজনও পাশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। আর গরীব দুঃখী পরিবারের মানুষরা লকডাউনে যখন খাদ্য শূন্যতার অভাবে দিনপাত কাটাচ্ছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন না পারছে নিজের দুঃখ-কষ্টের কথা কাউকে বলতে আবার না পারছে মুখগুটিয়ে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকতে। পথশিশু, ভিক্ষুক, ৩য় শ্রেণির, কথা আর নাই'বা বললাম! এদিকে সরকারের কথা আর কি বলবো! সরকার সাধ্যানুযায়ী যা-কিছুই দিয়েছিল এইকিছু দিনে মানুষ জেনে গেছে অর্ধেক ডুকেছে চেয়ারম্যান ও সংলিষ্টদের পকেটে আর অর্ধেক কোনরকম কাটশাট করে হয়তো কিছু মানুষ পেয়েছে। যা নিত্যপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আমার কাছে কমই বলে মনে হয়। অথচ কিছু মানুষকে আমরা অতীতে দেখেছি রাস্তায় রাস্তায় মানবতার স্লোগান দিয়ে পুরো আশপাশ কাপিয়ে দিতে কিন্তু এই ভয়াল সময়ে তাদেরকেও তেমন নজরে পরেনি। কিন্তু বাংলাদেশ এখন কিছু আসল মানবতার ফেরিওয়ালাদেরকে দেখতেছে। আলহামদুলিল্লাহ জাতির এই ক্লান্তলগ্নে মানুষ আজ আসল মানবাধিকার কর্মীদের খুঁজে পেয়েছে। অথচ টিভির পর্দাতে আর বিরিয়ানির পকেট দেওয়ার আশ্বাসে কিছু প...

মুমিন দুনিয়ার চেয়ে আখেরাতকে বেশি প্রাধান্য দেয়।

Image
দুনিয়ার এই ধন-সম্পদের লোভ লালসা আর পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের আকাঙ্খার চেয়ে আখেরাতের নিয়ামতগুলাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ। কারণ দুনিয়ার এই সুখশান্তি ক্ষণস্থায়ী যা কখনো স্থায়ী হয়না। আর আখেরাতের নিয়ামতগুলা হবে চিরস্থায়ী। এবং ইচ্ছা স্বাধীন। যখন যা প্রয়োজন হবে তা মুখে উচ্চারণ করার আগেই সামনে হাজির হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ।

সালাফদের মধ্যে আর আমাদের মধ্যে কত বড় পার্থক্য!

Image
রামাদান মাস শেষ হওয়া মাত্রই আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। অনেকে তো এটা মনে করি যে, আহ এই একটা মাস সারাদিন উপবাস থেকে কত কষ্ট করেছি! এখন নাহয় একটু শান্তি পেলাম দিনের বেলা উদর ভরে খেলেও আর কোনো সমস্যা নেই। শান্তির দিন চলে এসেছে এখন মন যা চায় তাই করতে পারবো। আরও কত সুখচিন্তা! অথচ সালাফদের (অর্থাৎ সালফে সালিহিন) জীবনী তালাশ করলে পাওয়া যার এর ব্যতিক্রম ও আশ্চর্যজনক ভিন্নকিছু। তাদের যখন রামাদান মাস শেষ হয়ে যেত তখন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পরতেন। আমি কি রামাদানে আমার গোনাহগুলো থেকে মুক্তি পেয়েছি? আল্লাহ কি মাফ করে দিয়েছেন? রামাদানের পূর্ণ ফজিলত কি আমি অর্জন করতে পেরেছি? এরকম পূর্ণময় মাস কি আমার জীবনে আবার আসবে? এরকম হাজারো চিন্তা-ভাবনায় তারা রামাদান শেষ হওয়ার পর থেকে একাধারে পুরো ছয়টা মাস কাটিয়ে দিতেন। আর পরবর্তী ছয় মাস তারা দ্বিতীয় রামাদানের প্রস্তুতি নিতে নিতে কাটিয়ে দিতেন। সুবহানাল্লাহ তাদের চিন্তাধারা কোথায় আর আমারা কোথায়? আল্লাহর নেক বান্দারা এভাবেই পুরো বৎসর অতিবাহিত করে দিতেন। আহ আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে চাই অথচ তাদের অনুসরণ করিনা! আমাদের মত হতভাগা আর কে হতে পারে এই দুনিয়ায়? ...